ঢাকা ০৮:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
গাবতলীতে গণধর্ষণ গ্রেফতার হয়নি কেউ

গাবতলীতে গণধর্ষণ গ্রেফতার হয়নি কেউ

সোজাসাপটা রিপোর্ট :
  • আপডেট সময় : ০৭:৫৭:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৫০ জন পড়েছেন

ফতুল্লা থানার গাবতলী এলাকায় মাস ব্যাপী গৃবধুকে ধর্ষণের ভিডিও ধারন করে টানা নির্মম নির্যাতন চালিয়েছে ধর্ষণকারীরা। এই ঘটনাকে এবার ধামাচাঁপা দেয়ার জন্য উঠেপরে লেগেছে বিএনপির পদপদবী বিহীন এক নেতা।

 

এই নেতা গাবতলী এলাকায় ওয়ান ম্যান শো রাজনীতি করেন। তার সর্বসাকুল্যে ৪/৫ জন কর্মী আছে। আর এই ৪/৫ জনের মাঝেই দুইজন এখন গণধর্ষণ মামলার আসামী। তাই গোটা এলাকার মানুষ এই মনির আর তার চ্যালাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠেছে।

 

এদিকে গাবতলীতে এক গৃহবধুকে মাস ব্যাপী গণধর্ষণের ঘটনায় গতকাল পর্যন্ত কোনো ধর্ষণকারীরা গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তবে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ধর্ষণকারীরা কোনো রকম পার পাবে না বলেই জানিয়েছে পুলিশ।

 

প্রসঙ্গত ফতুল্লা থানার গাবতলী এলাকায় কোলের শীশুকে কেড়ে নিয়ে এক অষ্টাদশী মাকে গণধর্ষণ করেছে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা। ওরা কেবল ধর্ষন করেই ক্ষান্ত হয়নি বরং ধর্ষনের ভিডিও ধারন করে গোটা রমজান মাস জুরে আঠারো বছর বয়সী এই গৃহবধুকে ব্লাকমেইল করেছে এবং বার বার গণধর্ষণ করেছে।

 

সর্বশেষ গত ৯ এপ্রিল পূনরায় ধর্ষন করলে অসুস্থ্য হয়ে পড়ূা এই নারী তার স্বামীকে ঘটনা জানায় এবং ফতুল্লা থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করে। গতকাল এ বিষয়ে জানতে ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শরীফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন এই ঘটনায় মামলা হয়েছে এবং আসামীদের গ্রেফতার করার জন্য সর্বাত্বক চেষ্ঠা চলছে।

 

ধর্ষীতার স্বামী লেগুনা ড্রাইভার (২৪) জানিয়েছেন, তারা বেশ কিছুদিন ধরে গাবতলী এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছেন।

 

বিগত রমজান শুরু হওয়ার আগে তার স্ত্রী (১৮) তার শীশু সন্তানকে নিয়ে ইসদাইর-গাবতলী লিংক রোড দিয়ে যাওয়ার সময় ইসদাইর বটতলা এলাকার আনোয়ারের ভাগিনা সজিব ওরফে বদনা সজিব, গাবতলী মাজার এলাকার কাসেম মিয়ার ছেলে রাকিব ওরফে মাইন, শফিক মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া নয়ন এবং নজরুল সহ অজ্ঞাত আরো দুইজন জোরপূর্বক ধরে নিয়ে তার শিশু সন্তানকে কোল থেকে ছিনিয়ে নিয়ে তার স্ত্রীকে গণধর্ষন করে।

 

এ সময় ধর্ষনকারীরা ধর্ষনের ভিডিও ধারন করে। এ সময় অপর এক নীরিহ ব্যাক্তিকে ধরে এনে ব্লাকমেইল করে ওই ব্যাক্তির কাছ থেকে নগদ ৩৫ হাজার টাকা রেখে দেয় এবং বলে ওই ব্যাক্তি যদি এই ঘটনা কাউকে জানায় তাহলে এই মেয়ের সাথে তার অবৈধ সম্পর্ক আছে বলে ফাঁসিয়ে দেবে। পরবর্তীতে গোটা রমজান মাস জুরে ওই ভিডিও ফাঁস করে দেয়ার ভয় দেখিয়ে মেয়েটিকে আরো কয়েক দফা গণধর্ষন করে। এতে মেয়েটি অনেকটাই অসুস্থ্য হয়ে পরে।

 

সর্বশেষ গত ৯ এপ্রিল তাকে পূনরায় একই আসামীরা গণধর্ষন করলে ওই দিন মেয়েটি তার স্বামীকে জানায় এবং স্বামী স্ত্রী ফতুল্লা থানায় গিয়ে মামলা দায়ের করে। এই ঘটনায় গোটা গাবতলী ও ইসদাইর এলাকা জুরে তোলপাড় চলছে।

 

ধর্ষীতার স্বামী আরো জানিয়েছে ধর্ষনের সময় ওরা পৈচাষিকতায় মেতে উঠে এবং মেয়েটির উপর শারিরীক নির্যাতন চালায়। মেয়েটির সারা শরীরে ধর্ষনকারীদের কামড়ের চিহ্ন রয়েছে।

এদিকে গত ৯ এপ্রিল মামলা দায়েরের সঙ্গে সঙ্গে আসামী ধরার জন্য পুলিশ তৎপর হয়ে উঠে। ওই দিন রাত দশটায় পুলিশ গাবতলী এলাকায় অভিযানে গেলে ওই এলাকার বিএনপি নেতা আবদুল্লা পুলিশকে মিসগাইড করে। মামলায় পরিস্কার ভাবে কাসেমের পুত্র রাকিব হাসান মাইনের নাম লিখা থাকলেও আবদুল্লা পুলিশকে স্থানীয় রিটায়ার্ড স্কুল শিক্ষক হেলার উদ্দিন গাজীর বাড়িতে নিয়ে যায়। কারন হেলাল মাস্টারের ছেলের নাম রাকিবুল ইসলাম।

 

এ সময় আবদুল্লার সহায়তায় পুলিশ গিয়ে হেলাল মাস্টারের পরিবারকে টনা দুই ঘন্টা হেনস্তা করে বলে হেলাল মাস্টার জানান। এ সময় ওই এলাকার কুখ্যাত ছিনতাইকারী ও মাদক ব্যবসায়ী বদনা সজিব সহ প্রকৃত অপরাধীদের ব্যাপারে ওয়ার্ড বিএনপির এই সাধারন সম্পাদক পুলিশের কাছে সাফাই গায়।

 

এ সময় আবদুল্লা বলে বদনা সজিব ও তার সাঙ্গপঙ্গরা বিএনপি করে আর হেলাল মাস্টারের পরিবার আওয়ামী লীগ করে। এ বিষয়ে অতি উৎসাহী আবদুল্লা পুলিশের সঙ্গে হেলাল মাস্টারের বাড়ি পর্যন্ত যায়।

 

এতে প্রকৃত অপরাধীরা টের পেয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। কিন্তু মজার বিষয় হলো এই হেলাল মাস্টার ও তার পরিবার কোনো রকম রাজনীতির সাথে জরিত নয়, বরং তিনি বিএনপি সমর্থক হিসাবে এলাকায় পরিচিত।

 

বিপরিত ধর্ষনকারী বদনা সবিজ সহ আসামীরাও বিএনপি বা এর অঙ্গ সংগঠনের কোনো পদে নেই। তবে এরা এদের নানা অপকর্ম করার জন্য স্থানীয় বিএনপি নেতা অধ্যাপক মনির এবং এই আবদুল্লার শেল্টার নিয়ে থাকে। আর এ বিষয়টি গোটা এলাকাবাসী জানে।

 

এদিকে গাবতলী এলাকাবাসী জানায় বদনা সজিবের নেতৃত্বে এই সন্ত্রাসীরা ওই এলাকায় ত্রাস হিসাবে পরিচিত। বিশেষ করে ছিনতাই, চুরি এবং মাদক ব্যবসার জন্য পরিচিত এই গ্রুপ। অথচ তার পরেও সম্প্রতি ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি খন্দকার মনিরুল ইসলাম এনায়েতনগর ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির নেতা আবদুল্লা এদেরকে শেল্টার দেয়।

 

এবারের ঈদে অধ্যাপক মনিরের সাথে বদনা সজিবকে ফটো তুলে ফেসবুকে দিতে দেখা যায়। মূলত ৫ আগষ্টের পর বিএনপির এই দুই নেতার শেল্টার পেয়েই এই ভয়ংকর অপরাধীরা বেপরোয়া হয়ে উঠে। এলাকাবাসী এই নির্মম গণধর্ষনের ন্যায় বিচার চায়।

সংবাদটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এড্রেস লিখুন :

গাবতলীতে গণধর্ষণ গ্রেফতার হয়নি কেউ

গাবতলীতে গণধর্ষণ গ্রেফতার হয়নি কেউ

আপডেট সময় : ০৭:৫৭:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫

ফতুল্লা থানার গাবতলী এলাকায় মাস ব্যাপী গৃবধুকে ধর্ষণের ভিডিও ধারন করে টানা নির্মম নির্যাতন চালিয়েছে ধর্ষণকারীরা। এই ঘটনাকে এবার ধামাচাঁপা দেয়ার জন্য উঠেপরে লেগেছে বিএনপির পদপদবী বিহীন এক নেতা।

 

এই নেতা গাবতলী এলাকায় ওয়ান ম্যান শো রাজনীতি করেন। তার সর্বসাকুল্যে ৪/৫ জন কর্মী আছে। আর এই ৪/৫ জনের মাঝেই দুইজন এখন গণধর্ষণ মামলার আসামী। তাই গোটা এলাকার মানুষ এই মনির আর তার চ্যালাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠেছে।

 

এদিকে গাবতলীতে এক গৃহবধুকে মাস ব্যাপী গণধর্ষণের ঘটনায় গতকাল পর্যন্ত কোনো ধর্ষণকারীরা গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তবে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ধর্ষণকারীরা কোনো রকম পার পাবে না বলেই জানিয়েছে পুলিশ।

 

প্রসঙ্গত ফতুল্লা থানার গাবতলী এলাকায় কোলের শীশুকে কেড়ে নিয়ে এক অষ্টাদশী মাকে গণধর্ষণ করেছে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা। ওরা কেবল ধর্ষন করেই ক্ষান্ত হয়নি বরং ধর্ষনের ভিডিও ধারন করে গোটা রমজান মাস জুরে আঠারো বছর বয়সী এই গৃহবধুকে ব্লাকমেইল করেছে এবং বার বার গণধর্ষণ করেছে।

 

সর্বশেষ গত ৯ এপ্রিল পূনরায় ধর্ষন করলে অসুস্থ্য হয়ে পড়ূা এই নারী তার স্বামীকে ঘটনা জানায় এবং ফতুল্লা থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করে। গতকাল এ বিষয়ে জানতে ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শরীফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন এই ঘটনায় মামলা হয়েছে এবং আসামীদের গ্রেফতার করার জন্য সর্বাত্বক চেষ্ঠা চলছে।

 

ধর্ষীতার স্বামী লেগুনা ড্রাইভার (২৪) জানিয়েছেন, তারা বেশ কিছুদিন ধরে গাবতলী এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছেন।

 

বিগত রমজান শুরু হওয়ার আগে তার স্ত্রী (১৮) তার শীশু সন্তানকে নিয়ে ইসদাইর-গাবতলী লিংক রোড দিয়ে যাওয়ার সময় ইসদাইর বটতলা এলাকার আনোয়ারের ভাগিনা সজিব ওরফে বদনা সজিব, গাবতলী মাজার এলাকার কাসেম মিয়ার ছেলে রাকিব ওরফে মাইন, শফিক মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া নয়ন এবং নজরুল সহ অজ্ঞাত আরো দুইজন জোরপূর্বক ধরে নিয়ে তার শিশু সন্তানকে কোল থেকে ছিনিয়ে নিয়ে তার স্ত্রীকে গণধর্ষন করে।

 

এ সময় ধর্ষনকারীরা ধর্ষনের ভিডিও ধারন করে। এ সময় অপর এক নীরিহ ব্যাক্তিকে ধরে এনে ব্লাকমেইল করে ওই ব্যাক্তির কাছ থেকে নগদ ৩৫ হাজার টাকা রেখে দেয় এবং বলে ওই ব্যাক্তি যদি এই ঘটনা কাউকে জানায় তাহলে এই মেয়ের সাথে তার অবৈধ সম্পর্ক আছে বলে ফাঁসিয়ে দেবে। পরবর্তীতে গোটা রমজান মাস জুরে ওই ভিডিও ফাঁস করে দেয়ার ভয় দেখিয়ে মেয়েটিকে আরো কয়েক দফা গণধর্ষন করে। এতে মেয়েটি অনেকটাই অসুস্থ্য হয়ে পরে।

 

সর্বশেষ গত ৯ এপ্রিল তাকে পূনরায় একই আসামীরা গণধর্ষন করলে ওই দিন মেয়েটি তার স্বামীকে জানায় এবং স্বামী স্ত্রী ফতুল্লা থানায় গিয়ে মামলা দায়ের করে। এই ঘটনায় গোটা গাবতলী ও ইসদাইর এলাকা জুরে তোলপাড় চলছে।

 

ধর্ষীতার স্বামী আরো জানিয়েছে ধর্ষনের সময় ওরা পৈচাষিকতায় মেতে উঠে এবং মেয়েটির উপর শারিরীক নির্যাতন চালায়। মেয়েটির সারা শরীরে ধর্ষনকারীদের কামড়ের চিহ্ন রয়েছে।

এদিকে গত ৯ এপ্রিল মামলা দায়েরের সঙ্গে সঙ্গে আসামী ধরার জন্য পুলিশ তৎপর হয়ে উঠে। ওই দিন রাত দশটায় পুলিশ গাবতলী এলাকায় অভিযানে গেলে ওই এলাকার বিএনপি নেতা আবদুল্লা পুলিশকে মিসগাইড করে। মামলায় পরিস্কার ভাবে কাসেমের পুত্র রাকিব হাসান মাইনের নাম লিখা থাকলেও আবদুল্লা পুলিশকে স্থানীয় রিটায়ার্ড স্কুল শিক্ষক হেলার উদ্দিন গাজীর বাড়িতে নিয়ে যায়। কারন হেলাল মাস্টারের ছেলের নাম রাকিবুল ইসলাম।

 

এ সময় আবদুল্লার সহায়তায় পুলিশ গিয়ে হেলাল মাস্টারের পরিবারকে টনা দুই ঘন্টা হেনস্তা করে বলে হেলাল মাস্টার জানান। এ সময় ওই এলাকার কুখ্যাত ছিনতাইকারী ও মাদক ব্যবসায়ী বদনা সজিব সহ প্রকৃত অপরাধীদের ব্যাপারে ওয়ার্ড বিএনপির এই সাধারন সম্পাদক পুলিশের কাছে সাফাই গায়।

 

এ সময় আবদুল্লা বলে বদনা সজিব ও তার সাঙ্গপঙ্গরা বিএনপি করে আর হেলাল মাস্টারের পরিবার আওয়ামী লীগ করে। এ বিষয়ে অতি উৎসাহী আবদুল্লা পুলিশের সঙ্গে হেলাল মাস্টারের বাড়ি পর্যন্ত যায়।

 

এতে প্রকৃত অপরাধীরা টের পেয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। কিন্তু মজার বিষয় হলো এই হেলাল মাস্টার ও তার পরিবার কোনো রকম রাজনীতির সাথে জরিত নয়, বরং তিনি বিএনপি সমর্থক হিসাবে এলাকায় পরিচিত।

 

বিপরিত ধর্ষনকারী বদনা সবিজ সহ আসামীরাও বিএনপি বা এর অঙ্গ সংগঠনের কোনো পদে নেই। তবে এরা এদের নানা অপকর্ম করার জন্য স্থানীয় বিএনপি নেতা অধ্যাপক মনির এবং এই আবদুল্লার শেল্টার নিয়ে থাকে। আর এ বিষয়টি গোটা এলাকাবাসী জানে।

 

এদিকে গাবতলী এলাকাবাসী জানায় বদনা সজিবের নেতৃত্বে এই সন্ত্রাসীরা ওই এলাকায় ত্রাস হিসাবে পরিচিত। বিশেষ করে ছিনতাই, চুরি এবং মাদক ব্যবসার জন্য পরিচিত এই গ্রুপ। অথচ তার পরেও সম্প্রতি ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি খন্দকার মনিরুল ইসলাম এনায়েতনগর ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির নেতা আবদুল্লা এদেরকে শেল্টার দেয়।

 

এবারের ঈদে অধ্যাপক মনিরের সাথে বদনা সজিবকে ফটো তুলে ফেসবুকে দিতে দেখা যায়। মূলত ৫ আগষ্টের পর বিএনপির এই দুই নেতার শেল্টার পেয়েই এই ভয়ংকর অপরাধীরা বেপরোয়া হয়ে উঠে। এলাকাবাসী এই নির্মম গণধর্ষনের ন্যায় বিচার চায়।