আবারও মিথ্যা অভিযোগে হয়রানির শিকার রিয়াদ চৌধুরী।

- আপডেট সময় : ০৯:৩৫:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫
- / ৮৫ জন পড়েছেন
সোজাসাপটা রিপোর্ট
এবার ড্রেজারের সঙ্গে জড়িয়ে রিয়াদ চৌধুরীকে হয়রানি করা হচ্ছে। ফতুল্লা স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজের জন্য বালু ভরাট কাজে ব্যবহৃত ড্রেজার লাইনের বুস্টার, পাইপ বিনা বাঁধায় ড্রেজারের মালিক পক্ষ বুঝে নেয়ার পরও, মিথ্যা অভিযোগ এনে ফতুল্লা থানা বিএনপির সদ্য সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মো. চৌধুরীর বিরুদ্ধে একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ড্রেজারের সব মালামাল সঠিক ভাবে বুঝে নেয়ার পরও, কেন এই মামলা দায়ের হয়েছে এ নিয়ে ফতুল্লাবাসী মাঝে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
সূত্র বলছে, ফতুল্লা স্টেডিয়ামে বালু ভরাট কাজের সঙ্গে ড্রেজারের মালিক পক্ষের সঙ্গে রিয়াদ মো. চৌধুরীর কোন যোগসূত্র নেই।
বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের সময়ে গডফাদার শামীম ওসমানের শ্যালক বিসিবির পরিচালক তানভীর আহমেদ টিটুর সহযোগী শহরের নিতাইগঞ্জ এলাকার এসএম রানার ব্যবসায়ী পাটনার শেখ মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন রানাকে ফতুল্লা স্টেডিয়াম ভরাটের দায়িত্ব দেয়া হয়।
৫ আগস্টে সরকারের পতনের পর, ঠিকাদারের খোঁজ না মেলায় স্টেডিয়ামে বালু ভরাটের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে টেন্ডারের মাধ্যমে বিসিবি রিয়াদ মো. চৌধুরীকে বালু ভরাটের দায়িত্ব প্রদান করে এবং তিনি সেটা গ্রহণ করেন।
প্রশ্ন উঠেছে তা হলে ড্রেজারের মালিক পক্ষ রিয়াদ মো. চৌধুরীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছে কেন? ড্রেজার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তো রিয়াদ মো. চৌধুরীর কোন চুক্তি হয়নি। তবে কী রিয়াদ মো. চৌধুরীর বিরুদ্ধে যে মামলা দায়ের হয়েছে তা কোন পক্ষের প্ররোচনায় হয়েছে?
এছাড়াও মামলায় বালু ভরাটে ব্যবহৃত ১ কোটি টাকা মূল্যের ড্রেজার, বুস্টার, পাইপ চুরির বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। যদি চুরি করা হয়, তাহলে গত ১৯ মে প্রকাশ্যে ড্রেজারের মালিক তাঁদের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি ও কর্মচারীদের দিয়ে ড্রেজার, বুস্টার, পাইপ তাঁদের নিজস্ব পরিবহনের মাধ্যমে সরিয়ে নিয়েছে। তাহলে ১৬ মে দায়ের করা মামলায় এসব মালামাল চুরি করে নেয়ার বিষয়টি উল্লেখ করলেন কেন? আসলে এই মামলা কারো দ্বারা প্রভাবিত হয়ে দায়ের হয়েছে তা দিবালোকের মতো স্পষ্ট। সকল রকম ষড়যন্ত্র থেকে শিগগিরই মুক্তি পাবেন রিয়াদ চৌধুরী, এমনটাই প্রত্যাশা সবার।