অবসরের ৫ বছরেও পেনশন পাননি মৃত্যু পথযাত্রী ফ্রান্সিলিয়া গোমেজ

- আপডেট সময় : ০৯:৪২:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫
- / ৫৪ জন পড়েছেন

?????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????
নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালের অবসর প্রাপ্ত সিনিয়র ষ্টাফ নাস ফ্রান্সিলিয়া গোমেজ অবসর নেয়ার প্রায় ৫ বছর অতিবাহিত হলেও এখনো পর্যন্ত পেনশন সুবিধা না পাওয়ায় মানসিক টেনশনে এখন মৃত্যু পথযাত্রী।
জানা যায়,ডিস্ট্রিক একাউন্টস এন্ড ফিন্যান্স অফিসার মোঃ আনোয়ার হোসেন কে দাবীকৃত ঘুষের টাকা প্রদান না করায় ফাইল আটক করে রেখেছেন।
এমনকি ডিসি ও সির্ভিল সার্জনের লিখিত পত্র দেয়া সত্বেও নানান বাহানায় ফ্রান্সিলিয়া গোমেজের ফাইলটি তালাবদ্ধ করে রেখেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে আনোয়ার হোসেনের বক্তব্য জানার জন্য গণমাধ্যম কর্মীরা তার অফিসে গেলে বসতে দেয়াতো দুরের কথা অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।
ফ্রান্সিলিয়া গোমেজ ১৯৮৪ সালে ৪ এপ্রিল জুনিয়র নাস হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। একই প্রতিষ্ঠানে সুনামের সহিত ৩১ বছর চাকুরী করে ২০১৫ সালের ৪ এপ্রিল তিনি অবসরে চলে যান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সম্মানের তাকে বিদায় জানান।
শিক্ষাগত সনদের একটি ভূল থাকায় তার অবসরকালীন পেনশন সহ বেতন আটক করে রাখেন দূর্নীতিবাজ একাউন্ট অফিসার আনোয়ার হোসেন।
অথচ নার্সিং অধিদপ্তর, জেলা সিভিল সার্জন ও জেলা প্রশাসক পর্যন্ত সিনিয়র ষ্টাফ নার্স ফ্রান্সিলিয়া গোমেজ অবসরকালীন ও পরের সকল সুযোগ সুবিধা প্রদান করতে লিখিত পত্র দেয়া হলেও আনোয়ার হোসেন কে তার দাবীকৃত ঘুষের টাকা না দেওয়ায় অনুমোদন প্রদান না করে তালবাহানা শুরু করেন।
জানা যায়,আওয়ামী লীগের দোসর আনোয়ার হোসেন গত ১৭ বছর আওয়ামী লীগের প্রভাব বিস্তার করে সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের ভয়ের মধ্যে রেখেছিলেন এবং বর্তমানেও বহাল রেখেছেন।
দূর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থে তার এক ছেলেকে আমেরিকায় পড়ালেখা করাচ্ছেন। এমনকি বিস্তর ধন সম্পদের মালিক বনে গেছেন। যা পর্যায়ক্রমে সংবাদ প্রকাশ হবে।
ফ্রান্সিলিয়া গোমেজ মেঝো ছেলে বিনয় দেউড়ী বলেন,আনোয়ার হোসেন স্যারের কাছে ২০ বারের বেশী গেছি। আনোয়ার হোসেন স্যার বলেছেন,সিভিল সার্জন মানি ফর ম্যানেজ তাহলে আমি কেন বাদ থাকবো। সিভিল সার্জনের বাবার টাকা যে কইলে দিয়া দিমু।
কোন ধরনের ঘুষ দিতে রাজি না হওয়ায় গত ৪ বছর যাবত ফ্রান্সিলিয়া গোমেজের ফাইল আটকে রেখেছেন জেলা অডিট এন্ড একাউন্টস অফিসার আনোয়ার হোসেন।
সিভিল সার্জন মানবিক কারনে বার বার অনুরোধ করলেও তিনি তাতে কর্নপাত করেননি।
এ ব্যাপারে আনোয়ার হোসেনের বক্তব্য জানার জন্য তার কার্যালয়ে গেলে তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। ক্যামেরা সামনে কথা বলতে রাজি না হলেও পরে উত্তেজিত কন্ঠে বলেন,আপনারা আর কোন নিউজ পাননা। এখানে কেন আসছেন। আমি কি জানতাম তিনি ১০ বছরে মেট্রিক্স পাশ করেছেন। তারাই ( সিভিল সার্জন) অফিস তো আমাকে, মন্ত্রণালয়ে,দূর্নীতিদমন অফিসে জানিয়েছে। উনি তো ২৪ বছর বয়সে সরকারী চাকুরীতে জয়েন করেছেন। এত বছর কেন দেখলেন না। ডিসি ও সিভিল সার্জন তো ফ্রান্সলিয়া গোমেজের পেনশন সুবিধা দিতে লিখিত পত্র দিয়েছে কেন দিচ্ছেন না এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন,আমি অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। সেখান থেকে বললে আমি দিয়ে দিব। সেখানে খোঁজ নেওয়ার পরামর্শ দেন।