ঢাকা ০৩:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মৃত্যুর আগে মাহিনকে পানি খেতে দেয়নি কেউ

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেট সময় : ০৪:১০:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫
  • / ৪০ জন পড়েছেন

চট্টগ্রাম: ফটিকছড়িতে নির্মমতার শিকার হয়ে প্রাণ হারানো ১৪ বছরের কিশোর মাহিন মৃত্যুর আগে পানি খেতে চেয়েছিল, কিন্তু দেয়নি কেউ। স্থানীয় কয়েকজন যুবক প্রকাশ্যে তাকে পিটিয়ে হত্যা করে।

শনিবার (২৩ আগস্ট) ময়নাতদন্ত শেষে মাহিনের লাশ নিজ গ্রামে আনা হলে একমাত্র সন্তানকে বুকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেড়ে পড়েন বাবা-মা।

মাহিনের বাবা মুহাম্মদ লোকমান স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ক্যানটিন চালান।

ছয় মাসে আগে বাড়ির পাশে চায়ের দোকান দেন। মাহিনের মা খাদিজা আকতার বলেন, ‘আমি তাদের কাছে ছেলের প্রাণভিক্ষা চেয়েছি। আমার ছেলেকে একটা গ্লাস পানি দিতে বলেছি, কিন্তু তারা দেয়নি’।

এদিকে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

ফটিকছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ নুর আহমদ বলেন, নিহতের মা বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছেন। ইতোমধ্যে ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদেরও দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।

ট্যাগ :

সংবাদটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মৃত্যুর আগে মাহিনকে পানি খেতে দেয়নি কেউ

আপডেট সময় : ০৪:১০:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫

চট্টগ্রাম: ফটিকছড়িতে নির্মমতার শিকার হয়ে প্রাণ হারানো ১৪ বছরের কিশোর মাহিন মৃত্যুর আগে পানি খেতে চেয়েছিল, কিন্তু দেয়নি কেউ। স্থানীয় কয়েকজন যুবক প্রকাশ্যে তাকে পিটিয়ে হত্যা করে।

শনিবার (২৩ আগস্ট) ময়নাতদন্ত শেষে মাহিনের লাশ নিজ গ্রামে আনা হলে একমাত্র সন্তানকে বুকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেড়ে পড়েন বাবা-মা।

মাহিনের বাবা মুহাম্মদ লোকমান স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ক্যানটিন চালান।

ছয় মাসে আগে বাড়ির পাশে চায়ের দোকান দেন। মাহিনের মা খাদিজা আকতার বলেন, ‘আমি তাদের কাছে ছেলের প্রাণভিক্ষা চেয়েছি। আমার ছেলেকে একটা গ্লাস পানি দিতে বলেছি, কিন্তু তারা দেয়নি’।

এদিকে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

ফটিকছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ নুর আহমদ বলেন, নিহতের মা বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছেন। ইতোমধ্যে ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদেরও দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।