ঢাকা ০৮:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নির্বাচন কমিশনকে রাহুলের হুঁশিয়ারি, ব্যবস্থা নেওয়া হুমকি

নির্বাচন কমিশনকে রাহুলের হুঁশিয়ারি, ব্যবস্থা নেওয়া হুমকি

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেট সময় : ০৩:৪৯:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫
  • / ৭১ জন পড়েছেন

ভারতের জাতীয় রাজনীতিতে আবারও সরব হলেন কংগ্রেস এমপি ও লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। বিহারের গয়ায় ‘ভোটাধিকার যাত্রা’-য় অংশ নিয়ে তিনি সরাসরি দেশের নির্বাচন কমিশনকে নিশানা করেন।

রাহুল অভিযোগ করেন, বিশেষ ভোটার তালিকা সংশোধন কর্মসূচি আসলে “ভোট চুরির নতুন কৌশল”। তার দাবি, কমিশনের পক্ষপাতিত্বের ফলে গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

রাহুলের বক্তব্যে তিন শীর্ষ নির্বাচন কমিশনার—জ্ঞানেশ কুমার, সুখবীর সিং সান্ধু এবং বিবেক জোশি—এর নাম উঠে আসে।

তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আজ মোদিজির সরকার। কিন্তু আগামী দিনে যদি ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসে, তাহলে এই তিন কমিশনারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবও রাহুলের পাশে দাঁড়িয়ে কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

বিরোধীদের অভিযোগ, কমিশন শুধু রাহুলের কাছেই হলফনামা চেয়েছে, অথচ বিজেপি নেতারা ভোট চুরির অভিযোগ তুললেও তাদের থেকে তা চাওয়া হয়নি। ফলে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার ন্যায়সংগত চরিত্র নিয়ে বিতর্ক আরও গভীর হচ্ছে।

ভারতের জাতীয় রাজনীতির এই টানাপোড়েন শুধু দিল্লি নয়, আন্তর্জাতিক মহলেও দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। কারণ বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রে ভোটার তালিকা সংশোধন ও নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা সবসময়ই সংবেদনশীল।

রাহুলের কড়া সুর ইঙ্গিত দিচ্ছে, আগামী লোকসভা নির্বাচনের পথে রাজনৈতিক সংঘাত আরও ঘনীভূত হবে।

ট্যাগ :

সংবাদটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

নির্বাচন কমিশনকে রাহুলের হুঁশিয়ারি, ব্যবস্থা নেওয়া হুমকি

নির্বাচন কমিশনকে রাহুলের হুঁশিয়ারি, ব্যবস্থা নেওয়া হুমকি

আপডেট সময় : ০৩:৪৯:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫

ভারতের জাতীয় রাজনীতিতে আবারও সরব হলেন কংগ্রেস এমপি ও লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। বিহারের গয়ায় ‘ভোটাধিকার যাত্রা’-য় অংশ নিয়ে তিনি সরাসরি দেশের নির্বাচন কমিশনকে নিশানা করেন।

রাহুল অভিযোগ করেন, বিশেষ ভোটার তালিকা সংশোধন কর্মসূচি আসলে “ভোট চুরির নতুন কৌশল”। তার দাবি, কমিশনের পক্ষপাতিত্বের ফলে গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

রাহুলের বক্তব্যে তিন শীর্ষ নির্বাচন কমিশনার—জ্ঞানেশ কুমার, সুখবীর সিং সান্ধু এবং বিবেক জোশি—এর নাম উঠে আসে।

তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আজ মোদিজির সরকার। কিন্তু আগামী দিনে যদি ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসে, তাহলে এই তিন কমিশনারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবও রাহুলের পাশে দাঁড়িয়ে কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

বিরোধীদের অভিযোগ, কমিশন শুধু রাহুলের কাছেই হলফনামা চেয়েছে, অথচ বিজেপি নেতারা ভোট চুরির অভিযোগ তুললেও তাদের থেকে তা চাওয়া হয়নি। ফলে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার ন্যায়সংগত চরিত্র নিয়ে বিতর্ক আরও গভীর হচ্ছে।

ভারতের জাতীয় রাজনীতির এই টানাপোড়েন শুধু দিল্লি নয়, আন্তর্জাতিক মহলেও দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। কারণ বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রে ভোটার তালিকা সংশোধন ও নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা সবসময়ই সংবেদনশীল।

রাহুলের কড়া সুর ইঙ্গিত দিচ্ছে, আগামী লোকসভা নির্বাচনের পথে রাজনৈতিক সংঘাত আরও ঘনীভূত হবে।