ঢাকা ১১:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
শতভাগ পাস দেখাতে ‘কম নম্বর’ পাওয়াদের বাদ দিলে ব্যবস্থা: এহসানুল কবির প্রধান উপদেষ্টাকে প্রতিরক্ষা বাহিনীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার পরামর্শ সালাহউদ্দিন আহমদের কৃষকের হাতে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গড়বে বিএনপি: তারেক রহমান রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হচ্ছে জুলাই সনদের চূড়ান্ত অনুলিপি সংস্কারের মধ্য দিয়েই বিএনপির জন্ম: মির্জা ফখরুল অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বৈঠকে বসছে ইসি কিছু উপদেষ্টা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তাদের কণ্ঠ রেকর্ড আছে: তাহের গভীর সমুদ্রে মৎস্য আহরণ ও ফল রপ্তানিতে সহায়তার আশ্বাস এফএওর যেনতেন নির্বাচন দিয়ে ‘সেফ এক্সিট’ নিতে দেওয়া হবে না: সারজিস কেন্দ্রিয় নেতাদের সঙ্গে বাবুলের বৈঠক

কুষ্টিয়ায় বাড়ছে পদ্মার পানি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেট সময় : ০৫:২৮:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫
  • / ৭৯ জন পড়েছেন

কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ায় বাড়তে শুরু করেছে পদ্মা নদীর পানি। সেই সাথে পদ্মার শাখা নদী গড়াই এর পানিও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ইতিমধ্যে দৌলতপুর উপজেলার পদ্মার চরাঞ্চলের কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিম্নাঞ্চলের সব বিদ্যালয়ে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় শুন্য দশমিক ১০ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানায় পানি উন্নয়ন বোর্ড।

বুধবার (১৩ আগস্ট) সকালে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার হার্ডিঞ্জব্রিজ পয়েন্টে পদ্মার পানি পরিমাপ করা হয় ১২ দশমিক ৮৯ সেন্টিমিটার। যা মঙ্গলবার ছিল ১০ দশমিক ৭৯ সেন্টিমিটার।

কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় শুন্য দশমিক ১০ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে পদ্মায়। মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত পদ্মার হার্ডিঞ্জব্রিজ পয়েন্টে পানির উচ্চতা ছিল ১২ দশমিক ৭৯ সেন্টিমিটার। বুধবার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ৮৯ সেন্টিমিটার। যা বিপদসীমার এক সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এই পয়েন্টে বিপদসীমা ধরা হয়েছে ১৩ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার।

এছাড়া, পদ্মার শাখা গড়াই নদীতে মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত পানির উচ্চতা ছিল ১১ দশমিক ২৫ সেন্টিমিটার। তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ২৭ সেন্টিমিটারে। এই পয়েন্টে বিপদসীমা ধরা হয়েছে ১২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার।

এদিকে, পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধির কারণে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার নিম্লাঞ্চল এবং চরাঞ্চলের বেশ কিছু গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এর মধ্যে চিলমারী ও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের কৃষিজমি, রাস্তা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্লাবিত হয়েছে। ইতিমধ্যে চরাঞ্চলের ১৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি প্রবেশ করায় পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে।

দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল হাই সিদ্দিকী জানান, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। চিলমারী ও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের বহু রাস্তাঘাট ও স্কুল প্লাবিত হয়েছে। ১৩টি স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পর্যাপ্ত খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সার্বিকভাবে সহযোগিতা করা হবে।

ট্যাগ :

সংবাদটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

কুষ্টিয়ায় বাড়ছে পদ্মার পানি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা

আপডেট সময় : ০৫:২৮:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫

কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ায় বাড়তে শুরু করেছে পদ্মা নদীর পানি। সেই সাথে পদ্মার শাখা নদী গড়াই এর পানিও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ইতিমধ্যে দৌলতপুর উপজেলার পদ্মার চরাঞ্চলের কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিম্নাঞ্চলের সব বিদ্যালয়ে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় শুন্য দশমিক ১০ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানায় পানি উন্নয়ন বোর্ড।

বুধবার (১৩ আগস্ট) সকালে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার হার্ডিঞ্জব্রিজ পয়েন্টে পদ্মার পানি পরিমাপ করা হয় ১২ দশমিক ৮৯ সেন্টিমিটার। যা মঙ্গলবার ছিল ১০ দশমিক ৭৯ সেন্টিমিটার।

কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় শুন্য দশমিক ১০ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে পদ্মায়। মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত পদ্মার হার্ডিঞ্জব্রিজ পয়েন্টে পানির উচ্চতা ছিল ১২ দশমিক ৭৯ সেন্টিমিটার। বুধবার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ৮৯ সেন্টিমিটার। যা বিপদসীমার এক সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এই পয়েন্টে বিপদসীমা ধরা হয়েছে ১৩ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার।

এছাড়া, পদ্মার শাখা গড়াই নদীতে মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত পানির উচ্চতা ছিল ১১ দশমিক ২৫ সেন্টিমিটার। তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ২৭ সেন্টিমিটারে। এই পয়েন্টে বিপদসীমা ধরা হয়েছে ১২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার।

এদিকে, পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধির কারণে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার নিম্লাঞ্চল এবং চরাঞ্চলের বেশ কিছু গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এর মধ্যে চিলমারী ও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের কৃষিজমি, রাস্তা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্লাবিত হয়েছে। ইতিমধ্যে চরাঞ্চলের ১৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি প্রবেশ করায় পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে।

দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল হাই সিদ্দিকী জানান, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। চিলমারী ও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের বহু রাস্তাঘাট ও স্কুল প্লাবিত হয়েছে। ১৩টি স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পর্যাপ্ত খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সার্বিকভাবে সহযোগিতা করা হবে।