বন্দরে মাকসুদ, দেলোয়ার গ্রেপ্তার হলেও অধরা বাদল

- আপডেট সময় : ০৬:৪৯:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
- / ৮৩ জন পড়েছেন
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ওসমান পরিবারের আস্থাভাজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মফিজুল ইসলাম বাদলের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছে। তিনি উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ছনখোলা এলাকার বাসিন্দা।
ওসমান পরিবারের প্রভাবশালী নেতা সেলিম ওসমান, উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন ও কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার প্রধানের ঘনিষ্ট এই ব্যাক্তি দর্ঘিদিন ধরে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার চালিয়ে গেলেও তার দৌরাত্মৎ থামছে না।
বরং স্বৈরাচার সরকার পতনের পর আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী সহ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন ও কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার প্রধান গ্রেপ্তার হলেও তিনি ধরাছোঁয়ার বাহিরে রয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, অঢোল সম্পত্তির মালিক হওয়ায় এলাকায় একক আধিপত্য বিস্তার ছাড়াও একটি পরিবারের বাড়িঘর ভাঙচুর সহ এলাকা থেকে বিতাড়িত করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
তার এসব কর্মকাণ্ডে এলাকায় কেউ মূখ খুলতে সাহস পাচ্ছেনা। তার এমন অপরাধ কর্মকাণ্ডে দিনদিন বেপরোয়া হয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওসমান পরিবারের প্রভাবশালী এমপি সেলিম ওসমানের আস্থাভাজন মফিজুল ইসলাম বাদল। সেলিম ওসমানের নির্বাচন থেকে শুরু করে এমন কোন কর্মকাণ্ড নেই তিনি ছিলেন না।
আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতিকের মনোনিত প্রার্থী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম এ রশিদের নির্বাচন পর্যন্ত তিনি করেছেন এবং একটি নির্বাচনী কেন্দ্রের দায়িত্বেও ছিলেন। তবে প্রকাশ্যে নৌকার নির্বাচন করলেও গোপনে রাজাকারপুত্র মাকসুদ চেয়ারম্যানের নির্বাচনের প্রচারও করেছেন তিনি।
এলাকাবাসী জানান, ডেভিল হান্ট অভিযানে মাকসুদ চেয়ারম্যান, দেলোয়ার প্রধান সহ অসংখ্য দলীয় নেতাকর্মী গ্রেফতার হলেও ধরাছোঁয়ার বাহিরে মফিজুল ইসলাম বাদল। তাকে আইনের আওতায় আনার সুদৃষ্টি কামনা করেন সচেনত মানুষ।