ক্ষোভে জুতা ছুড়লেন বৃদ্ধ, ডেকে বসতে দিলেন দুদক চেয়ারম্যান

- আপডেট সময় : ০৬:১৬:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫
- / ১৮ জন পড়েছেন
বগুড়া: দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) গণশুনানিতে অভিযোগ গ্রহণ না করায় ক্ষোভে এক বৃদ্ধ সংস্থাটির চেয়ারম্যানের দিকে জুতা নিক্ষেপ করেছেন। নিক্ষেপ করা জুতাটি অতিথি মঞ্চের নিচে গিয়ে পড়েছে।
রোববার (১০ আগস্ট) বগুড়া শহরের শহীদ টিটু মিলনায়তনে এই ঘটনা ঘটে। এসময় ওই বৃদ্ধকে গণশুনানি অনুষ্ঠান থেকে বের করে দেওয়া হলেও দুদক চেয়ারম্যানের নির্দেশে তাকে আবার ভেতরে বসতে দেওয়া হয়।
জুতা নিক্ষেপকারী ব্যক্তির নাম ছাকোয়াত হোসেন মণ্ডল (৬৫), পেশায় মৎস্যচাষি। তার ভাষ্যে, দীর্ঘদিন ধরে তিনি বিভিন্ন জায়গায় প্রতারিত হয়ে প্রতিকার না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েন। পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সেনাপ্রধানের দপ্তরে অভিযোগ করেও কোনো সুরাহা পাননি। শেষ চেষ্টা হিসেবে তিনি বগুড়ায় দুদকের গণশুনানিতে অভিযোগ জমা দিতে যান। কিন্তু সেখানেও তার অভিযোগ গ্রহণ করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এরপর গণশুনানি চলাকালে ছাকোয়াত হোসেন হঠাৎ ক্ষিপ্ত হয়ে দুদকের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেনের দিকে জুতা নিক্ষেপ করেন। ঘটনার পরপরই উপস্থিত কর্মকর্তারা তাকে সরিয়ে নিয়ে যান।
জুতা নিক্ষেপের কারণ জানতে চাইলে ছাকোয়াত হোসেন বলেন, সব দপ্তরে অভিযোগ দিয়েও বিচার পাইনি। মানবাধিকার কমিশন দুইবার আমার পক্ষে রায় দিলেও কোনো কাজ হয়নি। দুদকের এই অনুষ্ঠানে শুধু সদর থানার অভিযোগ নিচ্ছে, আমারটা নিচ্ছে না। এই আক্ষেপেই আমি জুতা নিক্ষেপ করেছি।
তিনি বলেন, আমি জেলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে বাড়ি থেকে এসেছি। জুতা নিক্ষেপ করলে জেলে যেতে হবে সেটা আমি জানি।
এ বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেনকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
তবে গণশুনানির সমাপনী বক্তব্যে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুর্নীতি করার জন্য ঘুষ দিতে হয়। যদি আপনারা ঘুষের সরবরাহ বন্ধ করে দেন—কাজ হোক বা না হোক, একসময় দেখবেন ঘুষ ছাড়াই কাজ হয়ে যাবে। সরকারি চাকরিজীবীদের বিকল্প নেই, তাদের কাজ করতেই হবে।