সিদ্ধিরগঞ্জে গ্রেপ্তার হয়নি আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা
সিদ্ধিরগঞ্জে গ্রেপ্তার হয়নি আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা
- আপডেট সময় : ০৫:০২:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫
- / ১১৩ জন পড়েছেন
স্টাফ রিপোর্টার
সারা দেশে যখন এনসিপি (জাতীয় নাগরিক পার্টি) ধারাবাহিকভাবে পথসভা ও গণসংযোগ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, ঠিক তখনই গোপালগঞ্জে সংগঠনটির নেতাকর্মীদের উপর একের পর এক সন্ত্রাসী হামলা শুরু হয়।
এই হামলার পেছনে রয়েছে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের সমন্বয়ে গঠিত একটি সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী বাহিনী। এনসিপির নেতাদের দাবি, এসব হামলার মাধ্যমে সরকার বিরোধী কর্মকাণ্ড দমন করার অপচেষ্টা চলছে।
গোপালগঞ্জে অনুষ্ঠিত একটি পথসভায় এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতাদের ওপর একাধিকবার হামলা হয়। এই ঘটনায় দেশজুড়ে ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দিয়েছে সাধারণ মানুষের মাঝে। হামলার ভিডিও এবং প্রমাণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়, যেখানে দেখা যায় হামলাকারীরা আওয়ামী লীগের পরিচিত মুখ এবং অস্ত্রধারী।
সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হলো, গোপালগঞ্জ থানার ওসিকেও সরাসরি হুমকি দেওয়া হয়েছে এই বাহিনীর পক্ষ থেকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিও বার্তায় দেখা যায়, এক আওয়ামী গেরিলা বাহিনীর সদস্য বলছেন, সারা বাংলাদেশেই আমাদের এই বাহিনী গঠন করা হয়েছে। প্রয়োজনে যেকোনো জায়গায় আঘাত হানা সম্ভব।
এই ধারাবাহিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জেও অস্থিরতা বিরাজ করছে। এলাকার সধারণ জনগণ ও রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। কারণ, এখানেও আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় কিছু নেতা রয়েছেন যারা বিভিন্ন সময় দলে ভাঙন, হুমকি-ধমকি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তবে এখনো পর্যন্ত এইসব নেতাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বা তাদের গ্রেফতার করা হয়নি।
বর্তমানে যেসব আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য: সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি মজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াসিন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি সাদেকুর রহমান, থানা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক, প্রচার সম্পাদক তাজিম বাবু, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক হোসেন আলম মেম্বার, আওয়ামীলীগ নেতা বি এম আমির হোসেন, শামীম ওসমানের মামা শ্বশুর আওয়ামীলীগ নেতা জালাল উদ্দিন, আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল মতিন প্রধান, মজিবুর রহমান মন্ডল, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলম, নাসিক ২নং ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগ নেতা আবুল হোসেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জোবায়ের আহমেদ মুনসুর, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইয়াসিন মিয়া, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগ রাজু, থানা আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক কাউন্সিলর শাহাজালাল বাদল, ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর হাজী নুরুদ্দিন মিয়া, আঞ্চলিক শ্রমিক লীগ নেতা সামাদ বেপারী, আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুর রহমান (শফি), থানা মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন দিপু, ছাত্রলীগ নেতা বাপ্পী, তপন, যুব মহিলা লীগ নেত্রী মনিরা সুলতানা মনি, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদিকা মাকসুদা সিকদার, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা মহিলা শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রোকসানা, যুব মহিলা লীগ নেত্রী চম্পা ভুইয়া, আওয়ামী লীগ নেত্রী সোনালী, নাসিক ৩নং ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগ নেতা তোফায়েল হোসেন, ৪নং ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগ নেতা মনির হোসেন, স্বেচ্ছাবেকলীগ নেতা জহিরুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা নজরুল ইসলাম, ৫নং ওয়ার্ডে মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য মোঃ রমজান আলী, নাসিকের ৮নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আওয়ামীলীগ নেতা রুহুল আমীন মোল্লা, ১নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আওয়ামীলীগ নেতা আনোয়ার ইসলাম, সাবেক কাউন্লির ওমর ফারুক, আওয়ামীলীগ নেতা ও থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি মজিবুর রহমানের ছেলে মাহমুদ, ভাতিজা বাদল মেম্বার, নাসিক ৬নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিল ও জেলা বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মন্ডল, যুবলীগ নেতা আশরাফ উদ্দিন, মানিক মাস্টার, আনোয়ার হোসেন মেহেদী, ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান মাহবুব ও আবুল কালাম আবু, শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি প্রকৌশলী আল-মামুনুর রশীদ, নারায়ণগঞ্জ জেলা যুব মহিলা লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আসমা আলী মল্লিক, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুব মহিলা লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মনি ইসলাম ও জুবায়ের আলম হিরা, যুবলীগ নেতা পানি আকতার, জাকির হোসেন, শ্রমিক লীগ নেতা সাদ্দাম হোসেন,আওয়ামীলীগ নেতা সাঈদুল রহমান, আওয়ামীলীগ নেতা স্টুডিও কাদির, নাসিক ১০ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আওয়ামীলীগ নেতা ইফতেখার আলম খোকন, যুবলীগ নেতা মহসিন ভুইয়া, সাইফুল ভুইয়া, ৭নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মিজানুর রহমান রিপন, ফজলুল হক জুয়েল, সালাউদ্দিন সানী।
এছাড়াও আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের আরও অনেক নেতা রয়েছেন যারা বিভিন্নভাবে ঘাপটি মেরে এলাকায় রয়েছেন। তারা সংঘবদ্ধ হয়ে যে কোন সময় সরকার বিরোধী আন্দোলনে ঘি ঢেলে দিতে পারে। তাই তাদের নজরদারীতে আনার জন্য দাবি জানিয়েছে বিএনপি সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা।
















