বন্দরে অবৈধ সিএনজি স্ট্যান্ডকে কেন্দ্র করে রনি-হান্নান গ্রুপের সংঘর্ষে একজন নিহত

- আপডেট সময় : ১১:০৮:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫
- / ১৬৫ জন পড়েছেন
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় রেললাইন সংলগ্ন এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও অবৈধ সিএনজি স্ট্যান্ডকে কেন্দ্র করে রনি ও হান্নান গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে কুদ্দুস (৪৫) নামে এক পথচারী নিহত হয়েছেন। এই সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (২১ জুন) রাত ১০টা ২০মিনিটে । নিহত কুদ্দুস পেশায় একজন শ্রমজীবী মানুষ ছিলেন। তিনি প্রতিদিনের মতো কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। হঠাৎ দুই গ্রুপের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে নিহত হন তিনি। স্থানীয়রা তাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বন্দরের রেললাইন কেন্দ্রিক এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে রনি ও হান্নান গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এই দুই গ্রুপই এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক নিয়ন্ত্রণ, ট্রেন থেকে পণ্য চুরি, ওয়ার্কশপ নিয়ন্ত্রণ এবং রাজনৈতিক দাপট দেখিয়ে আসছে।
রনি গ্রুপ স্থানীয়ভাবে আওয়ামী লীগের একাংশের সমর্থনপুষ্ট হিসেবে পরিচিত, অপরদিকে হান্নান গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছেন মহানগর বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক ও সাবেক কাউন্সিলর আবুল কাউসার আশার অনুসারীরা।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, শুকবার বিকেলে হান্নান গ্রুপ রনির এক অনুসারীকে মারধর করে। এর প্রতিশোধ নিতে শনিবার রাতে রনি গ্রুপ রেললাইন এলাকায় অবস্থান নেয়। উভয়পক্ষই দেশীয় অস্ত্র এবং আগ্নেয়াস্ত্রসহ মুখোমুখি হলে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। আতঙ্কে এলাকা ফাঁকা হয়ে যায়। দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। রাস্তায় সাধারণ মানুষ দিকবিদিক ছুটতে থাকে।
নিহত কুদ্দুস ছিলেন একজন রিকশা শ্রমিক। তার বাড়ি বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জ এলাকায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তিনি ঘটনাস্থল অতিক্রম করার সময় হঠাৎ তাকে উদ্দশ্যে করে কোপ দিলে এসে তার গায়ে লাগে। তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং রক্তাক্ত অবস্থায় ছটফট করতে থাকেন।
ঘটনার পরপরই বন্দর থানা পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকা থেকে ৫ রাউন্ড তাজা গুলি ও কয়েকটি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কাউকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা সম্ভব হয়নি।